মোঃ আহসান হাবীব সুমন, নিজেস্ব প্রতিবেদক:
জামালপুর জেলার অন্তর্গত মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরকারি আবাসিক ভবনের ভাড়া সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে নিজস্ব ব্যাংক একাউন্টে রাখার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে ক্যাশিয়ার গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে। অভিযোগ অনুযায়ী, নতুন নির্মিত ভবনের দ্বিতীয় তলায় বসবাসকারী চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ও ড্রাইভারসহ একাধিক সরকারি কর্মচারীর কাছ থেকে নিয়মিত বাসাভাড়া আদায় করা হলেও তা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হচ্ছে না।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নতুন বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলায় মোট চারটি শ্রেণি-৪ কর্মচারীর বাসভবন রয়েছে। এসব বাসায় বসবাস করছেন— রিনা বেগম (বাবুচি), রেজুয়ানা পারভিন (মিডু রাইস), কানিজ ফাতেমা (সিনিয়র স্টাফ নার্স), এছাড়াও মসজিদের ইমাম শহিদুল ইসলাম পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের চারজন সদস্যসহ।
অভিযোগ রয়েছে, এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে আদায়কৃত বাসাভাড়া ক্যাশিয়ার গোলাম মোস্তফা নিজের ব্যক্তিগত ব্যাংক একাউন্টে জমা রাখছেন। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে ভাড়া আদায় করা হলেও সংশ্লিষ্ট অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়নি।
একাধিক কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “বাসাভাড়ার টাকা আমরা নিয়মিত দিচ্ছি, কিন্তু সেটি কোথায় জমা হচ্ছে সে বিষয়ে আমাদের কোনো রসিদ বা স্বচ্ছ হিসাব দেওয়া হয় না। বিষয়টি নিয়ে কথা বললে বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করা হয়।”
স্থানীয় সচেতন মহলের অভিযোগ, এ অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি রাজস্ব ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে ভয়ভীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা তৈরি হয়েছে।
এ বিষয়ে ক্যাশিয়ার গোলাম মোস্তফার বক্তব্য জানতে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি।
অন্যদিকে, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি তাদের নজরে এসেছে। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।
এ ঘটনায় দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় নাগরিক সমাজ ও স্বাস্থ্যখাত সংশ্লিষ্টরা।
