নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি আর নেই। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা তদারকির সঙ্গে যুক্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক শোকবার্তায় শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর জানানো হয়। শোকবার্তায় তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়।
উল্লেখ্য, গত কয়েক দিন আগে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন শরিফ ওসমান হাদি। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বুধবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বার্তায় জানায়, গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তাঁর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। ওই ঘোষণার পর থেকেই দেশজুড়ে তাঁর সুস্থতা নিয়ে উদ্বেগ ও শঙ্কা বাড়তে থাকে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা ওসমান হাদির দ্রুত আরোগ্য কামনা করে পোস্ট দেন। তবে শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
শরিফ ওসমান হাদি ছিলেন ইনকিলাব মঞ্চের অন্যতম পরিচিত মুখ ও সক্রিয় মুখপাত্র। বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক ইস্যুতে তাঁর সরব উপস্থিতি ছিল। বক্তৃতা, লেখালেখি ও গণমাধ্যমে বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি তরুণ সমাজের মধ্যে পরিচিতি লাভ করেন। তাঁর মৃত্যুতে ইনকিলাব মঞ্চসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এদিকে তাঁর মৃত্যুর খবরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোকের বন্যা বইছে। অনেকে তাঁকে একজন সাহসী কণ্ঠস্বর ও সংগ্রামী নেতা হিসেবে স্মরণ করছেন। নেতাকর্মীরা দ্রুত মরদেহ দেশে আনার দাবি জানিয়েছেন এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে যথাযথ মর্যাদায় দাফনের আহ্বান জানিয়েছেন।
শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যু দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একটি বড় শূন্যতা তৈরি করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
