বকশিগঞ্জ প্রতিনিধি :
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র উসমান হাদীর ওপর সন্ত্রাসী হামলা ও হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে জামালপুরের বকশীগঞ্জে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজপথ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত বকশীগঞ্জ পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র চৌরাস্তা মোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ।
‘জুলাই ঐক্য বকশীগঞ্জ’-এর ব্যানারে প্রথমে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি পৌর শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌরাস্তা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে টায়ার জ্বালিয়ে দেড় ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে বকশীগঞ্জ–জামালপুর সড়কসহ আশপাশের সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। অফিসগামী মানুষ, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সসহ সাধারণ জনগণ চরম দুর্ভোগে পড়েন।
অবরোধ চলাকালে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শাহরিয়ার আহমেদ সুমন, শহিদুল ইসলাম সানী, বায়জিদ আলামিন, সা’দ আহমেদ রাজু, লাদেন আকন্দ, খন্দকার কাজলসহ আরও অনেকে। বক্তারা অভিযোগ করেন, উসমান হাদীর ওপর হামলা পূর্বপরিকল্পিত এবং রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাঁরা বলেন, এ ধরনের হামলা স্বাধীন মতপ্রকাশ ও গণতান্ত্রিক রাজনীতিকে স্তব্ধ করার অপচেষ্টা।
বক্তারা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁদের দাবি, হামলার ঘটনার পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও জড়িতদের গ্রেপ্তার না হওয়ায় অপরাধীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এ সময় বক্তারা ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ঘোষণা করে বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উসমান হাদীর ওপর হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা না করলে বকশীগঞ্জসহ গোটা জেলায় বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠলে বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা সাময়িকভাবে অবরোধ প্রত্যাহার করেন। তবে আন্দোলনকারীরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দাবি পূরণ না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ঘটনাটি ঘিরে বকশীগঞ্জে দিনভর রাজনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করে এবং এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়ে।
